নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ববাজারে চলমান ট্যারিফ যুদ্ধ ও তেলের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে তেলের চাহিদার ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাজারে এক ধরনের নিম্নমুখী অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এমিরেটস এনবিডির অ্যাক্টিং গ্রুপ রিসার্চ প্রধান ও প্রধান অর্থনীতিবিদ এডওয়ার্ড বেল বলেন, নিম্নমুখী সুরক্ষার প্রিমিয়ামগুলো মহামারির পর থেকে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হয়েছে। ফিউচার মার্কেটেও সময়কালীন ব্যবধানের বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এপ্রিলের শুরুতে ব্রেন্ট ফিউচারের ১ থেকে ৬ মাসের ব্যবধান ছিল প্রতি ব্যারেল ৩ ডলারের বেশি ব্যাকওয়ার্ডেশন, যা এখন কমে এসেছে মাত্র ১ ডলারের একটু বেশি।
এমিরেটস এনবিডি তাদের ব্রেন্ট তেলের মূল্য পূর্বাভাস কমিয়ে প্রতি ব্যারেল ৬৮ ডলার করেছে, যা আগে ছিল ৭৩ ডলার। ডব্লিউটিআই তেলের জন্য নতুন পূর্বাভাস গড় মূল্য প্রতি ব্যারেল ৬৫ ডলার, পূর্বের ৭১ ডলার থেকে হ্রাস পেয়েছে।বেল জানান, যদিও এখনও ফিউচার কাঠামো পুরোপুরি কন্ট্যাঙ্গোতে যায়নি, তবে ট্যারিফ যুদ্ধের প্রভাব যদি আরও গভীর হয়, তাহলে বাজারের কাঠামো ব্যাকওয়ার্ডেশন থেকে সরে গিয়ে কন্ট্যাঙ্গোর দিকে এগোতে পারে। ৯০ দিনের ট্যারিফ বিরতির ঘোষণা কিছুটা স্থিতি এনেছে, তবে বাজারে এখনও বড় ধরনের নিম্নমুখী ঝুঁকি বিরাজ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠাৎ ট্যারিফ ঘোষণায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এপ্রিলের শুরু থেকে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই-এর ফিউচারের দাম পড়ে যায়, কারণ বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত ছিলেন, বাণিজ্য যুদ্ধ বৈশ্বিক মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে। ৯ এপ্রিল ব্রেন্টের দাম ৬০ ডলারের নিচে নেমে আসে, যা ছিল ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের পর সর্বনিম্ন।
এদিকে, ওপেক (পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা) জোট ৩ এপ্রিল ঘোষণা করে যে তারা কিছু পরিকল্পিত উৎপাদন বৃদ্ধিকে আগাম বাস্তবায়ন করবে। মার্কিন ট্যারিফ ঘোষণার পরদিন ওপেক+ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় উৎপাদন কমিয়েছে, তারা জানিয়েছে—তারা মে মাসে তিন মাসের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা এগিয়ে আনছে।