1. anisurinfo.com@gmail.com : Anisur Rahman : Anisur Rahman
  2. dainikamaderkhobor@gmail.com : Editor : Editor Anisur
হারিয়ে গেছে ৬০ প্রজাতির মাছ, উৎপাদন বেশি হলেও রপ্তানিতে পিছিয়ে - dainikamaderkhobor
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক আমাদের খবর সময়ের সাথে খবরের সন্ধানে এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের পাঠকদের জনপ্রিয় প্রত্রিকা★পত্রিকাটি সাংবাদিক ও লেখক আনিসুর রহমান হানিফ এর সম্পাদনায় নির্বাহী সম্পাদক প্রফেসর ডাঃ আকতার হোসেন কতৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার নিউজ ও বিজ্ঞাপন প্রচার করতে যোগাযোগ করুন ০১৮৪৩৯৩১৪৯৭ নম্বারে।
শিরোনামঃ-
ফরিদপুরে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যান সভা অনুষ্ঠিত দোয়ারাবাজারে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কে আটক দোয়ারাবাজারে প্রাইমারী স্কুল বন্ধ রেখে পতাকা উত্তোলনের দায়ে শিক্ষকে শোকজ ফরিদপুরে বিএনপি’র বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন বিলবোর্ড অপসারণের প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে সাগরিকা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার শেষ হলো কুবির প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হাটহাজারীতে ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত,গুরুতর আহত একজন দোয়ারাবাজারে রণভূমি হাজীগঞ্জ হাটি’র’রাস্তা বেহাল দশা দেখার কেউ নেই কালিহাতীতে নির্জন বাড়ীর শয়নকক্ষে নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার   কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রোগীর অভিভাবকের সাথে নার্স ইনচার্জের অশালীন আচরণ

হারিয়ে গেছে ৬০ প্রজাতির মাছ, উৎপাদন বেশি হলেও রপ্তানিতে পিছিয়ে

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮৪ জন শেয়ার করেছেন

বিপ্লব কুমার দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ নদীমাতৃক বাংলাদেশে মাছ চাষের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ উদ্যোগ ও পরিকল্পনার অভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশে ৬০ প্রজাতিরও বেশি মাছ হারিয়ে গেছে। দেশের রপ্তানি আয়ের খুব সামান্য একটি অংশ মৎস্য সেক্টর থেকে আসে। অথচ যথাযথ উদ্যোগ এবং বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোকে কাজে লাগানো গেলে বিশ্বের বহু দেশের মতো বাংলাদেশও এক্ষেত্রে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে ২৬৪ প্রজাতির দেশি মাছ ছিল। অথচ জলবায়ু পরিবর্তন, যথেচ্ছ কীট নাশকের ব্যবহার, কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার, খাল নদী দখল ও দূষণসহ নানা কারণে ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৬০ প্রজাতির মাছ। গত কয়েক বছরে দেশে মাছ চাষের বিস্তৃতি হয়েছে। বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু মাছ রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২১তম। শুধুমাত্র পরিকল্পনা গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে সম্ভাবনাময় এই খাতে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেরই মৎস্য রপ্তানি খাত বেশ সমৃদ্ধ।

সূত্র বলেছে, দেশের সাগর, নদী, খাল–বিলে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এসব মাছের পরিবর্তে দেশের পুকুরে চাষের পাঙাশ, তেলাপিয়া ও কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) মৎস্য সম্পদের অবদান এখন ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের ৫৬ শতাংশ মাছ আসছে পুকুর থেকে। পুকুরে মাছ চাষের কারণে গত তিন দশকে মোট উৎপাদন বেড়েছে ছয়গুণ। মাছ চাষ ও ব্যবসায় দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ যুক্ত রয়েছেন। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১.৩৯ শতাংশ আসে মৎস্য খাত থেকে। এ খাতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১০ শতাংশ। দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মৎস্য খাত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সক্ষমতা অর্জন করছে।

উদ্যোক্তাদের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছানো হলে কৃষিভিত্তিক এসব শিল্পখাতের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। আর তাতে প্রচুর বেকারের কর্মসংস্থান হবে এবং কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশও অর্থনীতিতে স্বনির্ভর হবে।

মৎস্য চাষে বাংলাদেশ স্বর্ণালী অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। মাছের উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে। স্বাদু পানির মাছে বাংলাদেশ তার তৃতীয় স্থানটি ধরে রেখে উৎপাদন বাড়ানোর হারে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। চাষের মাছে দেশ গত ছয় বছরের মতোই পঞ্চম হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী,মৎস্য বিভাগের মতে, সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। যা দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। গত এক যুগে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে বছরে অন্তত ৫ লাখ টন ইলিশ উৎপাদিত হচ্ছে। ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে উঠে আসার পেছনে সরকারের নানা পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করে সূত্র বলেছে, বিশ্বের ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশই বাংলাদেশে উৎপন্ন হচ্ছে।

বাংলাদেশে পুকুরে মাছ চাষে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করে সূত্রগুলো বলেছে, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে শুধু আমিষেরই যোগান নয়, দেশে বেকার জনগোষ্ঠির কর্মস্থানেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের মৎস্য বিজ্ঞানীরা বহু মাছের উন্নত জাতের উদ্ভাবন করেছেন। যা দেশে মাছ উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বিজ্ঞানীরা দেশের বিলুপ্তপ্রায় ২২ প্রজাতির মাছের চাষপদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছেন বলে উল্লেখ করে সূত্র জানায়, টেংরা, পাবদা ও মলার মতো পুষ্টিকর মাছগুলো হারিয়ে যেতে বসেছিল। এগুলো চাষের ফলে ফিরে আনা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বলেন, সরকার মাছ চাষকে নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এর সুফল মিলতে শুরু করেছে। আগামী দিনগুলোতে মাছ চাষের ব্যাপ্তি আরো বাড়বে বলে উল্লেখ করে সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, মাছ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই খাতকে অবহেলার সুযোগ নেই। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করে গত বেশ কয়েক বছর ধরে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। মাছের উৎপাদনে যে প্রবৃদ্ধি তা আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অপর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশে মাছের উৎপাদন যেভাবে বাড়ছে তাকে কাজে লাগিয়ে রপ্তানি বাড়ানো গেলে চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার খাতও অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে। বিশ্বের বহু দেশে বাংলাদেশের মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। এ দেশগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রপ্তানি করা গেলে দেশ সমৃদ্ধ হবে। বর্তমানে শুধু চিংড়ি মাছই বড় ভলিউমে রপ্তানি হয় বলে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, অন্যান্য মাছও রপ্তানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশে বাজার সৃষ্টির জন্য দূতাবাস এবং মিশনগুলোকে কাজে লাগানোরও পরামর্শ দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও নিউজ

Ads1

Ads2

© All rights reserved © 2017 dainikamaderkhobor.Com
Theme Customized By Diggil Agency
Skip to toolbar