ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম: বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জনবসতিপূর্ণ বৃহত্তর বাকলিয়া থানার জনসাধারণ চসিকের সব ধরনের টেক্স প্রদান করেও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ উঠেছে।
নগরীর চকবাজার,পশ্চিম বাকলিয়ার ১৭, নং ওয়ার্ডের জালিয়া পাড়া, ফুলতলা চাক্তাই ডাইমেনশন খালের উভয় পারে অবস্থিত বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার শিক্ষা প্রসারে অগ্রনী ভূমিকা রাখছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর জোয়ারের পানি ও হালকা বৃষ্টিতে নিচু এলাকা ও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশ পথ সহ বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি পানিতে তলিয়ে যায়।এই সময় ভোগান্তিতে পরতে হয় শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দ সহ এলাকার বাসিন্দাদেরকে।
সরেজমিনে ঘুরে নগরীর বৃহত্তর বাকলিয়া ও চকবাজারের একাধিক নিচু এলাকা ফুলতলা, বেপারি পাড়া,গাসিয়া পাড়া,রসুলবাগ খালপাড় আবাসিক,সৈয়দ শাহ ওয়াপদা রোড,ডিসি রোড,গনি কলোনি সড়ক,মিয়াখাঁন নগর, চকবাজার কাঁচা বাজার, কাপাসগোলা গার্লস স্কুল সড়ক, বহাদ্দার হাট ও মুরাদপুর শুলক বহর সড়কে দেখা যায় বর্ষা মৌসুমের
হালকা, ভারী বৃষ্টি ও কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি চাক্তাই খাল দিয়ে প্রবেশ করায় তলিয়ে যায় এই সব এলাকার সড়ক ও নিচু এলাকা।সড়কে জলাবদ্ধতার ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।বাসাবাড়িতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে নিচু এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার
বিষয়ে বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাঈন উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি জানান এইসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি,স্থানীয় কাউন্সিলর, চসিক কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে এখনো আশ্বাসের বাণী শুনে যাচ্ছি।
মুল সড়ক হতে বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখটি দ্রুত সংষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ও দেয়া হয়েছে একাধিক বার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি অদ্যবধি।
এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ শহিদুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান নগরীর জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ৩৪ ব্রীগেড সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করে চসিক কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেননি।
নগরীর একাধিক খালের উভয় পাশের রিটার্নিং ওয়াল ও খনন কাজ সম্পন্ন হলে কর্ণফুলী মোহনার রাবার গেইট খুলে দিলে জলাবদ্ধতার এই সমস্যা আর থাকবে না। এই বিষয়ে নগরীর জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক সেনা কর্মকর্তা ফেরদৌস খানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান নগরীর প্রতিটি খালের নিচে জমা থাকা মাটি,বর্জ্য, অপসারণের কাজ চলছে।বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে এই জলাবদ্ধতা সমস্যা অনেকটাই লাগব হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী কে সচেতন হতে হবে।খালের উভয় পাশের বাসা, বাড়ির বাসিন্দারা যদি ময়লা আবর্জনা খালে ছুড়ে না পেলে, নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে পেলে,সেই সাথে চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ এই সব বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করে তাহলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই লাগব হবে।
নগরীর নিচু এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের আশঙ্কা ও অভিযোগ এই বছর বর্ষা মৌসুমে একাধারে বর্ষণ হলে নগরীর নিচু এলাকার জনসাধারণকে পানিবন্দী জীবন যাপন করতে হবে। সরকারের নগরীর জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের ধীর গতির মাসুল দিতে হচ্ছে নগরীর সাধারণ মানুষকে। সরকার ও চসিকের সব ধরনের কর,টেক্স পরিশোধ করেও ন্যূনতম নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না বলে জানান স্থানীয় সাধারণ মানুষ।